02 October 2015

ঢাকা-কুমিল্লা রুটে যাত্রীদের থেকে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া আদায়


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে আত্মশুদ্ধি লাভ করা। পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও কাছের মানুষদের নিয়ে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন করার জন্য নাড়ির টানে ফিরে আসে ঢাকায় অবস্থান করা মানুষেরা। আর এই নাড়ির টানে ফিরে আসা যাত্রীদের কেন্দ্র করে কুমিল্লা হইতে ঢাকাগামী এশিয়া ও তিশা বাসে ভাড়া প্রায় দ্বিগুন করেছে বলে অভিযোগ করছে যাত্রীরা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, কুমিল্লার শাসনগাছা হইতে ঢাকা সরাসরি আসার একমাত্র বাস হলো এশিয়া আর তিশা। অন্য কোন বাসের ব্যবস্থা না থাকায় এই দুই বাসের মালিকেরা ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করছে। বিভিন্ন সময় অতিরিক্ত ভাড়া আদাায় করে থাকে বলে জানায় বাস যাত্রীরা। এরই ধারা বাহিগতা পবিত্র ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে এশিয়া ও তিশা বাসের মালিকেরা ১শত টাকা বৃদ্ধি করে ভাড়া ঠিক করে ৩শত টাকা। গত বুধবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বাস ষ্টেশনে অবস্থান করে দেখা যায়, দুপুর ১টায় ৩০ মিনিটে কুমিল্লার তিশা এক্সক্লুসিভের একটি বাস ঢাকার উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু করে। আর বাসের সকল যাত্রীদের কাছ থেকে ৩শত টাকা করে ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছে যাত্রীরা। কুমিল্লা থেকে ঢাকার দুরুত্ব মাত্র ৯৭ কিঃ মিঃ। এতো স্বল্প কিঃ মিটারের অনুযায়ী বাসে ভাড়া অতিরিক্ত নিচ্ছে। তারা আরো জানায় কুমিল্লা থেকে ঢাকার ভাড়ায় সর্বোচ্চ ১শত হইতে ১শত ২০টাকা হতে পারে কিন্তুু বাসের মালিকের যোগসাজে এটা দ্বিগুন করা হয়েছে। এ বিষয়ে ওই বাসের ৩৫ নং আসনের যাত্রী মোঃ রফিকুল ইসলামের সাথে ভাড়া বিষয়ে আলাপকালে তিনি বলেন, আমরা তো সব সময় আসা যাওয়া করি কিন্তু কোন দিন এতো টাকা দিয়ে আসিনি ও যাইনি। আমরা তো তাদের কাছে জিম্মি হয়ে আছি। এখান থেকে দুইটি বাস সরাসরি ঢাকা যায় তাই বাধ্য হয়ে টাকা বেশি দিচ্ছি।এব্যাপারে তিশা এক্সক্লুসিভ বাস কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করলে তারা জানায় যে,আমাদের বাস ভাড়া ৩শত টাকা।

শেয়ার করুনঃ

Author:

কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।