08 December 2013

নূরমানিকচর মসজিদ

দেবীদ্বারের সবচেয়ে পুরাতন মসজিদ নূরমানিকচর মসজিদ, যার বয়স প্রায় পাঁচশত বছরজানা যায়, পঞ্চদশ শতাব্দীর আগে মরহুম সৈয়দ নূর আহমেদ কাদেরী পীর সাহেব এ মসজিদ নির্মান করে গেছেনসৈয়দ নূর আহমেদ কাদেরী পীর সাহেব'র নামানুসারে ওই গ্রামের নামকরণ করা হয় নূরমানিকচর গ্রাম
আজ থেকে কত বছর আগে দেবীদ্বারে কে বা কারা ইসলামের আলো জ্বেলেছিলেন তার কোন দিক নির্দেশনা পাওয়া যায়নিতবে ঐতিহাসিক মসজিদগুলোর দিকে খেয়াল করলে সহজেই বুঝা যায় এখানকার মুসলিম সভ্যতা অনেক দিনের পুরনোকারন এক/দু'জন লোক মুসলমান হলে সেখানে পাকা বা অন্যভাবে নিত একটি মসজিদ গড়ে উঠেনাসম্মিলিত ভাবে জুম্মার নামাজ আদায়ের জন্য প্রয়োজন একটি মুসলিম সমাজএমনই একটি মুসলিম সমাজের চিত্র পাওয়া যায় কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার নূরমানিকচর গ্রামে
এখানে নূরমানিকচর মসজিদ নামে দির্ঘ দিনের একটি পুরনো মসজিদ রয়েছেএ মসজিদটি সাতগম্ভুজ বিশিষ্টমসজিদটির দৈর্ঘ্য ১০ফুট, প্রস্থ্য ৫ফুটএকসঙ্গে ২০/২৫জন নামাজ আদায় করতে পারেনচুন-সুরকী দিয়ে নির্মিত মসজিদটির ভেতরে অপূর্ব কারুকাজ রয়েছেমসজিদের ছাদে রয়েছে ১১টি গম্বুজ, এর মধ্যে মূল ছাদে রয়েছে ৭টি এবং বাকী চারটি গম্বুজ রয়েছে মসজিদের চারকোণায়তবে সংরৰন ও সংস্কারের অভাবে সবকটি গম্বুজই ধ্বংশ প্রায়সুষ্ঠভাবে পরিচর্যা না করায় মসজিদের বাহিরের আসত্দরগুলো নষ্ট হয়ে গেছেঅধিকাংশ জায়গা থেকে আসত্দরগুলো খসে পড়ছেবৃষ্টির পানিতে মসজিদের দেয়ালে সেওলা জমে মসজিদের শ্রী'নষ্ট হয়ে গেছেছাদের অবস্থা আরো খারাপযে কোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারেনূরমাকিচর মসজিদটি কুমিল্লাশহর থেকে পশ্চিমে ১৮কিলো মিটার দূর এবং 'ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক'র নূরমানিকচর বাস স্টেশনের আধা কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত
স্থানীয়রা জানান, সমসজিদের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ নূর আহম্মেদ আল কাদেরী পীর সাহেব একজ ধর্মপ্রাণ ও দানবীর ছিলেনতিনি মসজিদ ছাড়াও ডাকঘর, মক্তব,পাঠশালা, ও দিঘী নির্মান করে গেছেনমসজিদটি রৰা করতে হলে অনতিবিলম্বে এর সংস্কার প্রয়োজনতারা আরো দাবী করেন যে, মসজিদটি মুসুলস্নী সংকুলান না হলেও এটি এ এলাকার ঐতিহ্য

শেয়ার করুনঃ

Author:

কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।

0 facebook: