11 December 2013

সুফি সাধক রমযান আলী ফকির



সুফি সাধক রমযান আলী ফকির, তিনি নি: সন্দেহে একজন আল্লাহ পাকের  অলি ছিলেনতিনি কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার অন্তর্গত এতবার পুর ইউনিয়নের এতবারপুর গ্রামে ( প: পাড়ায়) সর্বপ্রথম একটি মক্তব স্থাপন করে সেখান থেকে মানুষকে ইসলামের দাওয়াত দিতে থাকেনতিনি   মানুষকে শুধু  ইসলামের দাওয়াত দিয়েই ক্ষান্ত হননী , তিনি সকল মুসলমানকে ধর্মীয় রীতি নীতি  এবং কিভাবে মানুষ আল্লাহর সান্যিধ্য লাভ করতে পারে তাও শিক্ষা দিতেন

            কথিত আছে যে, এতবারপুর গ্রামটির এবং আশে পাশের গ্রাম গুলি হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা ছিল, তখনকার সময়ে আল্লাহর অলি রমযান আলী ফকিরের কারামতি এবং আদর্শ দেখে হাজার হাজার মানুষ তাদের ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেপ্রকাশ আছে যে, রমযান আলী ফকির সাহেব যেখানে বসে মানুষকে ইসলামের কথা বলতেন সেখানেই আজ তিনি চির নিদ্রায় সায়িত আছেন

        এখানে দুর দুরান্ত খেকে হাজার হাজার মানুষ প্রতি শুক্রবার এসে জুমার নামাজ আদায়, এই মহা মানবের মাজার জিয়ারত এবং তাদের যাবতীয় মানত পুরন করে থাকেনযত ধর্মপ্রান মুসলমান এখানে মানত করেছেন তাহাদের উক্তি হলো রমযান আলী ফকির সাহেব একজন জিন্দা অলি, আমরা যাহাই মানত করি আল্লাহ পাক এই জিন্দা অলির উচিলায় তা পুরন করে দেন

       সুফি সাধক রমযান আলী ফকির সাহেব ছিলেন ক্বাদরিয়া তরিকা ছাড়া ও বাকী সব তরিকার সাধকএই মহা মানব দীর্ঘ ৮৯ বছর ইসলামের খেদমত করার পরে ১৯০৫ ইং রেজি ইন্তেকাল করেন- ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন


শেয়ার করুনঃ

Author:

কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।

0 facebook: