কুমিল্লা জেলার
মুরাদনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন বিদ্যাপীঠ শ্রীকাইল কলেজ ও
শ্রীকাইল কৃষ্ণকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা নরেন্দ্রনাথ দও ১৮৮৪ সালের
২১ সেপ্টেম্বর মুরাদনগর উপজেলার শ্রীকাইল গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন।
তার বাবার নাম কৃষ্ণকুমার দত্ত ও মাতা নাম ছিল শর্বানী সুন্দরী দেবী। তাদের
পরিবারের ৪ছেলের মধ্যে নরেন্দ্রনাথ দও তৃতীয় সন্তান ছিলেন । ১৩ বছর বয়সে
নরেন্দ্রনাথ প্রথম বিভাগে ছাত্র বৃওি পাশ করেন এবং কুমিল্লা জিলা স্কুলে
৭ম শ্রেনীতে ভর্তি হয়ে পরীক্ষায় প্রথম হয়ে ডবল প্রমোশন পান এবং ফ্রি শিপ
লাভ করেন । সংগ্রামী এই ব্যাক্তি ছাএ জীবনে ময়নামতি থেকে সবজি কিনে
কুমিল্লা শহরে এনে মাথায় করে বিক্রি করতেন এবং কুমিল্লায় প্রসন্ন কুমার
চক্রবর্তীর নিকটে তখন থাকতেন । ১৯০৬ সালে তিনি এনট্রান্স পরীক্ষা পাশ করেন
এবং ভিক্টোরিয়া কলেজে থেকে ১৯০৮ সালে এফ এ দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করেন । এই
কর্মবীর নরেন্দ্রনাথ ১৯০৯ সালে কলিকাতা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন এবং তার
পড়াশোনার খরচ চালানো জন্য তিনি সিদিরপুর ডাক কুলির কাজ করেন । ১৯১৫ সালে
এম.বি পাশ করে কলিকাতা প্রেসিডেন্সি জেনারেল হাসপাতালে অস্থায়ী সহকারী
সার্জন পদে যোগ দেন পরে ভারতীয় মেডিকেল সার্ভিসে আইএম এস অস্থায়ী পদ গ্রহন
কার লে: পদ নিয়ে ৯বছর এই পদে চাকরী করেন । ১৯১৯ সালে ইংরেজদের দ্বারা ইউ
ফ্রেতিস উপত্যকায় আশ্রয় শিবিরের ক্যাপ্টেন হিসাবে নরেনদ্রনাথ নিযুক্ত হয়ে
৬বছর উক্ত পদে বহাল দিলেন। চাকরী জীবনের পর থেকে তিনি ১৯৩৩সালে ইন্ডিয়ান
রিসার্চ ইনস্টিভ এবং ১৯৩৫সালে বেঙ্গল ইমিউনিটি রিসার্চ ইনস্টিটিউট
প্রতিষ্ঠা করেন এবং তা পরিচালনা করেন । তার জম্ম ভূমি তে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
গড়ার পরিকল্পনা নিয়ে ১৯৩৫ সালে শ্রীকাইল গ্রামে আসেন এবং ১৯৩৯ সালে
প্রতিষ্ঠা করেন তার পিতার নামে “শ্রীকাইল কৃষ্ণকুমার উচ্চ বিদ্যালয়” এবং
১৯৪১ সালে শ্রীকাইল কলেজ । শ্রীকাইল কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক
শ্যামা প্রসাদ ভট্রাচার্য্য বলেন “নরেন্দ্রনাথ দওের চিন্তা ছিল মানুষ কে কি
করে যথার্থ মানুষ করে গড়ে তোলা যায় সে জন্য তিনি আমরণ চেষ্টা করে গেছেন,
তিনি ছিলেন অবিবাহিত তাই তিনি বলতেন স্কুল ও কলেজ থেকে বেড়িয়ে যাওয়া
আলোকিত ছেলে মেয়েরাই আমার মানস সন্তান”। এই মহান কর্মবীর ও শিক্ষা সংস্কারক
নন্দ্রেনাথ দও ১৯৪৯ সালে ৬ এপ্রিল কলিকাতায় পরোলোগমন করেন ।
05 October 2013
Author: নতুন প্রজন্ম কুমিল্লা
কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।
0 facebook: