২০১৭ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ভয়াবহ ফল বিপর্যয়ে পড়েছে কুমিল্লা বোর্ড। গেল বছরে যেখানে পাসের হার ছিল ৮৪ শতাংশ। হঠাৎ করেই এ বছর প্রায় অর্ধেকে নেমে ৪৯.৫২ হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছেন মাত্র ৬৭৮ জন।
দেশের সব শিক্ষা বোডের্র মধ্যে কুমিল্লা বোর্ডের অবস্থান একেবারেই তলানিতে। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ দেখা গেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে। শিক্ষকরাও হতবাক হয়ে গেছেন।
সূত্রমতে, ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে পাসের হার কোনোভাবেই ৯০ থেখে ৮৪ শতাংশের নিচে আসেনি। ২০১৩ সালে এ হার ছিল ৯০.৪১ শতাংশ। পরের বছর ২০১৪ সালে পাস করে ৮৯.৯২ শতাংশ শিক্ষার্থী। এরপর ২০১৫ সালে এসে পাসের হার দেখা গেছে ৮৪.২২ শতাংশ। সর্বশেষ ২০১৬ সালে ৮৪ শতাংশ শিক্ষার্থীরা পাস করে।
গেল তিন বছরে পাসের হার নিম্নগামী দেখা গেলেও তা যে অর্ধেকে নেমে আসবে তা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। রোববার (২৩ জুলাই) ফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু শিক্ষক বলছেন, এইচএসসির নির্বাচনী পরীক্ষায় যার ফেল করে তাদের চূড়ান্ত পরীক্ষায় সুযোগ দেয়া হচ্ছে। আর এটা হচ্ছে রাজনৈতিক ও প্রভাবশালীদের তদবিরে। এ কারণে পাসের হারে এমন বিপর্যয় দেখা গেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, যারা নির্বাচনী পরীক্ষায় ফেল করছে তাদের প্রভাবশালী আত্মীয় স্বজন প্রভাব খাটিয়ে চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেয়ার অনুমোদন দিতে শিক্ষকদের বাধ্য করছেন। যার ফলে এমন পরিণতি দেখা গেছে।
তবে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কায়সার আহমদ বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি মনে করছেন গণিত ও ইংরেজিতে ফলাফল খারাপ করছে পরীক্ষার্থীরা। এর প্রভাব পড়েছে সামগ্রিক ফলাফলে। তবে তার দাবি, শহর কেন্দ্রিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভালো ফলাফল হয়েছে।
0 facebook: