রোজার প্রথম সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো জমে ওঠেনি কুমিল্লার শপিংমলগুলো। এমনকি স্বাভাবিকের তুলনায়ও কম বিক্রি হওয়ায় হতাশ বিক্রেতারা। গতকাল সরেজমিনে গিয়ে খন্দকার হক টাওয়ার, সাত্তার খান কমপ্লেক্স, ইষ্টার্ণ ইয়াকুব প্লাজা, ময়নামতি গোল্ডেন টাওয়ার, সমবায় মার্কেট, নিউ মার্কেট, মনোহরপুরসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটগুলোতে কাটা কাপড় ও দেশি-বিদেশি প্রচুর পরিমাণ রেডিমেইড পোশাক সাজিয়ে বসেছেন দোকানীরা। কিন্তু এখনও ক্রেতার অপেক্ষায় দিন গুণছেন ব্যবসায়ীরা।
গত বছরের তুলনায় এবছর এখনও ঈদের বাজার জমে না উঠায় ব্যবসায়ীরা কিছুটা টেনশনে রয়েছেন। তবে অনেকে ধারণা করছেন দু’একদিন পরই কুমিল্লায় ঈদের বাজার জমে উঠবে। বর্তমানে যে সকল ক্রেতা আসছেন তারা এক মার্কেট থেকে অন্য মার্কেট ছুটে যাচ্ছেন। কিন্তু এখনও কেনাকাটা করছেন না। অপেক্ষায় রয়েছেন নতুন কি চমক আসে। অন্যদিকে থান কাপড় দোকানগুলো জমে উঠেছে। কুমিল্লার বিভিন্ন শপিংমলে ভারতীয় থ্রি-পিস, শাড়ি, শার্ট, প্যান্ট ও দেশীয় বিভিন্ন পোশাক ওঠেছে। বিভিন্ন শপিংমলে ১শ’ ভাগের মধ্যে ৭০ ভাগ থ্রি-পিসই ভারতীয় পোশাক। যার মধ্যে রয়েছে- বাহুবলি, সারারা, লং ড্রেস, অরপিন্ডে, ইসকে দিওয়ানা, মাস্তানি, ফ্লোর টাইসসহ আরো অনেক।
সাত্তার খান কমপ্লেক্সের অর্কিড প্লাস ফ্যাশনের সত্বাধিকারী মো: রাজু জানান, এখনও ঈদের বাজার জমে উঠেনি। তবে আশা করছি দু’একদিনের মধ্যে জমে উঠবে। বৃষ্টির কারণে দূরের ক্রেতারা এখনো আসেনি। গত ঈদের তুলনায় এখনও ভালো বিক্রি হয়নি।
খন্দকার হক টাওয়ারের মোহনা অভিজাত বস্ত্র বিতানের সত্বাধিকারী মো: হারুনুর রশিদ জানান, থান কাপড় বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারাও তাদের পছন্দের কাটা কাপড় কেনার জন্য আসতে শুরু করেছেন। তবে গতবারের তুলনায় এবার বিক্রি একটু কম। বেশি নেটের কাপড় বিক্রি হচ্ছে। লেহেঙ্গা ও রাউন্ড থ্রি-পিস বিক্রি হচ্ছে।
সাত্তার খান কমপ্লেক্সের ফেয়ার লেডির সত্বাধিকারী মো: কামরুল ইসলাম লিটন জানান, নতুন থ্রি-পিসের মধ্যে নতুন নতুন কিছু কালেকশন এসেছে। তবে তা এখনো আমরা দোকানে শো-করিনি। ক্রেতাদের উপস্থিতি দেখে তা আমরা শো করবো। আশা করি দু’একদিনের মধ্যে ঈদের বাজার জমে উঠবে।
সূত্রঃ কুমিল্লার কাগজ
0 facebook: