কুমিল্লার ভারত সীমান্তের একটি গ্রামে ফেনসিডিলসহ মাদক তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। ওই কারখানা থেকে দুই হাজারেরও বেশি ফেনসিডিলের বোতল ও সরঞ্জামাদিসহ বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার সীমান্তবর্তী গলিয়ারা গ্রামের রতন মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এ কারখানার সন্ধান পায় পুলিশ।
উক্ত ঘটনায় কারখানা মালিক রতনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন। জানা যায়, বুধবার সকালের দিকে নগরীর গর্জনখোলা এলাকায় একটি সিএনজিতে তল্লাশি চালিয়ে একশ' বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ। এসময় সিএনজি চালকসহ তিনজনকে আটক করা হয়।
পুলিশ জানায়, তাৎক্ষণিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে আটককৃত রতন মিয়া গ্রামের বাড়িতে ফেনসিডিলসহ মাদক তৈরির কারখানা রয়েছে বলে জানায়। তাদের দেয়া তথ্যমতে কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল রতন মিয়ার গলিয়ারা গ্রামের বাড়িতে বুধবার দুপুরের দিকে অভিযান চালায়।
সীমান্তবর্তী এলাকার ওই বাড়িটিতে গোয়াল ঘরের আড়ালে গড়ে তোলা হয় ফেনসিডিলসহ মাদক তৈরির বিশাল কারখানা। পুলিশ ওই কারখানা থেকে দুই হাজারেরও বেশি বোতল ফেনসিডিল, কয়েক হাজার খালি বোতল, বোতলের কর্ক, তরল ফেনসিডিল ভর্তি ড্রাম, ফেনসিডিল তৈরির নানান সরঞ্জাম এবং প্রায় একশ' কেজি গাঁজা উদ্ধার করে।
পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন জানান, সীমান্তের নির্জন এলাকার এই বাড়িতে গরু পালনের নামে গোয়াল ঘর তৈরি করে ওই ঘরে ফেনসিডিলের কারখানা গড়ে তোলা হয়। ওই কারখানায় প্রস্তুতকৃত ফেনসিডিল দেশের বিভিন্নস্থানে পাচার করা হতো।
সূত্রঃ ইত্তেফাক
0 facebook: