18 April 2017

মনিরুল হক সাক্কুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা


কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি এবং মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছে ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ আদালত। মঙ্গলবার এ নির্দেশ দিয়েছেন ঐ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক কামরুল হোসেন মোল্লা।  ২০০৮ সালের ১১ জানুয়ারি ঢাকার রমনা থানায় দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তথ্য গোপনের মামলায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদকের উপ পরিচালক শাহিন আরা মমতাজ ।মামলার সরকারি অতিরিক্ত পিপি তাপস কুমার পাল জানান, দুদকের দায়ের করা ঐ মামলায় ৫ কোটি ৫৭ লাখ ৯ শ ৩৩ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বহিভূত সম্পদ অর্জন এবং ১ কোটি ১২ লাক টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়েছিল। ঐ মামলায় ২০১০ সালে ৬ মাসের জামিন নিয়েছিলেন মনিরুল হক সাক্কু। পরে আর জামিন নেন নি। মামলায় অপর অভিযুক্ত সাক্কুর স্ত্রী আফরোজা জেসমিন টিকলি ১৬৪ ধারায় জবার বন্দি প্রদান করেন। পরে তাঁর স্ত্রী টিকলি মামলাটির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন। সে রীটটি খারিজ হয়ে যায়। পরে ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি টিকলিকে অব্যহতি দিয়ে চার্জসীট দেয়া হয়। বিজ্ঞ বিচারক চার্জসীট আমলে নিয়েছেন। সাক্কু এতো দিন পলাতক ছিল। আইনজীবী আরো জানান, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের সময় দেয়া হলফনামায় এ মামলার তথ্য গোপন করেছেন। বিষয়টি নির্বাচন কমিশন দেখবে। তিনি জানান, মামলার পরবর্তি তারিখ ৯ মে। উল্লেখ্য. গত ৩০ মার্চ কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে দ্বিতীয় বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন মনিরুল হক সাক্কু। প্রথম নির্বাচনেও তিনি মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন।

শেয়ার করুনঃ

Author:

কুমিল্লা অঞ্চলটি একসময় প্রাচীন সমতট অঞ্চলের অধীনে ছিল। পরবর্তীকালে এটি ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে যোগ দেয়। খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দীতে কুমিল্লা জেলা হরিকেল অঞ্চলের রাজাদের অধীনে আসে। অষ্টম শতাব্দীতে লালমাই ময়নামতি দেব বংশ এবং দশম থেকে একাদশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত চন্দ্র বংশের শাসনাধীনে ছিল। ১৭৬৫ সালে এ অঞ্চলটি ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধীনে আসে। ১৭৯০ সালে জেলাটি ত্রিপুরা জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে কুমিল্লা রাখা হয়। ১৯৮৪ সালে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমা পৃথক জেলায় পরিণত হয়।

0 facebook: