প্রাচীন আর সমৃদ্ধশালী জেলাগুলোর
নাম বললে কুমিল্লার নামটা একদম উপরের দিকেই আসে, আর এ কারণে কুমিল্লা
জেলাকে নিয়ে দেশের মানুষের একটা আলাদা আগ্রহ আছে ।কুমিল্লা জেলাতে ঘুরে দেখার কি আছে এ নিয়ে হরহামেশাই প্রশ্নের সম্মুখিন হতে হয়
,কিভাবে আসবো কুমিল্লা ? ঘুরে দেখার জায়গাগুলোতে কিভাবে
যাবো ? খাবো কোথায় ?
প্রথমেই আসি কুমিল্লাতে দেখার মতো কি আছে যার টানে আপনি
কুমিল্লা আসবেন ? অনেক জায়গা আছে যা দেখার জন্য আপনি রসমলাই এর জন্য বিখ্যাত
কুমিল্লা জেলায় ঘুরে আসতে পারেন। তাহলে শুরু করা যাক ? আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা
করব কুমিল্লা ধর্মসাগর নিয়ে।
ইতিহাসঃ ত্রিপুরা রাজ্যের অধিপতি মহারাজ ধর্মমাণিক্য
১৪৫৮ সালে এই দীঘি খনন করেন।জানা যায়, কুমিল্লা শহর ও তার আশেপাশের অঞ্চল সে সময় তাঁর রাজত্বের
অধীন ছিল এবং এ অঞ্চলের জনগণের পানীয় জলের সুবিধার জন্য তিনি দীঘিটি খনন করেন। ১৯৬৪ সালে দীঘিটির পশ্চিম ও উত্তর
পাড়টি তদানিন্তন জেলা প্রশাসক মহোদয়ের উদ্যোগে পাকা করা হয়। এই অঞ্চলের মানুষের জলের কষ্ট নিবারণ
করাই ছিল রাজার মূল উদ্দেশ্য। “রাজমালা” গ্রন্থ আনুসারে মহারাজা সুদীর্ঘ
৩২ বৎসর রাজত্ব করেন (১৪৩১-৬২ খ্রি:)। মহারাজা ধর্মমাণিক্যের নামানুসারে এর নাম রাখা হয় ধর্মসাগর। ধর্মসাগর নিয়ে ছড়িয়ে রয়েছে
বহু উপাখ্যান ও উপকথা।
বিবরণঃ বর্তমানে ধর্মসাগরের আয়তন ২৩:১৮ একর। এটির পূর্বে কুমিল্লা স্টেডিয়াম
ও কুমিল্লা জিলা স্কুল, উত্তরাংশে সিটি কর্পোরেশনের উদ্যান
ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় অবস্থিত। কুমিল্লার শহরবাসীর নিকট এই দীঘিটি একটি বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। এখানে অবকাশ উদযাপনের নিমিত্ত প্রতিদিন
বিপুল জন সমাগম হয়ে থাকে। এছাড়া সারাদেশেই ধর্মসাগরের প্রসিদ্ধি রয়েছে।
ধর্মসাগরের উত্তর কোণে রয়েছে রাণীর কুঠির, পৌরপার্ক। পূর্ব দিকে কুমিল্লা স্টেডিয়াম আর পশ্চিম
পাড়ে বসার ব্যবস্থা আছে। স্থানীয় অধিবাসী ছাড়াও পর্যটকের আগমন ঘটে। দিঘিপাড়ের সবুজ বড় বড় গাছের সারি ধর্মসাগরকে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা। তাছাড়াও শীতকালে ধর্মসাগরে প্রচুর
অতিথি পাখির আগমন ঘটে।
যেভাবে যেতে হবেঃ ধর্মসাগর কুমিল্লা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বিধায়
শহরের যে কোন স্থান থেকে এখানে সহজে যাতায়াত করা যায়।
কোথায় থাকবেনঃ কুমিল্লা শহরে অনেকগুলো ভাল মানের হোটেল
আছে। সেখানে থাকতে পারেন। বার্ড খুব কাছে। বার্ডে যোগাযোগ করলে সেখানেও
থাকতে পারেন।
প্রাচীন আর সমৃদ্ধশালী জেলাগুলোর
নাম বললে কুমিল্লার নামটা একদম উপরের দিকেই আসে, আর এ কারণে কুমিল্লা
জেলাকে নিয়ে দেশের মানুষের একটা আলাদা আগ্রহ আছে ।কুমিল্লা জেলাতে ঘুরে দেখার কি আছে এ নিয়ে হরহামেশাই প্রশ্নের সম্মুখিন হতে হয়
,কিভাবে আসবো কুমিল্লা ? ঘুরে দেখার জায়গাগুলোতে কিভাবে
যাবো ? খাবো কোথায় ?
প্রথমেই আসি কুমিল্লাতে দেখার মতো কি আছে যার টানে আপনি
কুমিল্লা আসবেন ? অনেক জায়গা আছে যা দেখার জন্য আপনি রসমলাই এর জন্য বিখ্যাত
কুমিল্লা জেলায় ঘুরে আসতে পারেন। তাহলে শুরু করা যাক ? আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা
করব কুমিল্লা ধর্মসাগর নিয়ে।
ইতিহাসঃ ত্রিপুরা রাজ্যের অধিপতি মহারাজ ধর্মমাণিক্য
১৪৫৮ সালে এই দীঘি খনন করেন।জানা যায়, কুমিল্লা শহর ও তার আশেপাশের অঞ্চল সে সময় তাঁর রাজত্বের
অধীন ছিল এবং এ অঞ্চলের জনগণের পানীয় জলের সুবিধার জন্য তিনি দীঘিটি খনন করেন। ১৯৬৪ সালে দীঘিটির পশ্চিম ও উত্তর
পাড়টি তদানিন্তন জেলা প্রশাসক মহোদয়ের উদ্যোগে পাকা করা হয়। এই অঞ্চলের মানুষের জলের কষ্ট নিবারণ
করাই ছিল রাজার মূল উদ্দেশ্য। “রাজমালা” গ্রন্থ আনুসারে মহারাজা সুদীর্ঘ
৩২ বৎসর রাজত্ব করেন (১৪৩১-৬২ খ্রি:)। মহারাজা ধর্মমাণিক্যের নামানুসারে এর নাম রাখা হয় ধর্মসাগর। ধর্মসাগর নিয়ে ছড়িয়ে রয়েছে
বহু উপাখ্যান ও উপকথা।
বিবরণঃ বর্তমানে ধর্মসাগরের আয়তন ২৩:১৮ একর। এটির পূর্বে কুমিল্লা স্টেডিয়াম
ও কুমিল্লা জিলা স্কুল, উত্তরাংশে সিটি কর্পোরেশনের উদ্যান
ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় অবস্থিত। কুমিল্লার শহরবাসীর নিকট এই দীঘিটি একটি বিনোদনকেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। এখানে অবকাশ উদযাপনের নিমিত্ত প্রতিদিন
বিপুল জন সমাগম হয়ে থাকে। এছাড়া সারাদেশেই ধর্মসাগরের প্রসিদ্ধি রয়েছে।
ধর্মসাগরের উত্তর কোণে রয়েছে রাণীর কুঠির, পৌরপার্ক। পূর্ব দিকে কুমিল্লা স্টেডিয়াম আর পশ্চিম
পাড়ে বসার ব্যবস্থা আছে। স্থানীয় অধিবাসী ছাড়াও পর্যটকের আগমন ঘটে। দিঘিপাড়ের সবুজ বড় বড় গাছের সারি ধর্মসাগরকে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা। তাছাড়াও শীতকালে ধর্মসাগরে প্রচুর
অতিথি পাখির আগমন ঘটে।
যেভাবে যেতে হবেঃ ধর্মসাগর কুমিল্লা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বিধায়
শহরের যে কোন স্থান থেকে এখানে সহজে যাতায়াত করা যায়।
কোথায় থাকবেনঃ কুমিল্লা শহরে অনেকগুলো ভাল মানের হোটেল
আছে। সেখানে থাকতে পারেন। বার্ড খুব কাছে। বার্ডে যোগাযোগ করলে সেখানেও
থাকতে পারেন।