18 April 2014

ফটো গ্যালারি - উপজেলা ম্যাপ

ফটো গ্যালারি - উপজেলা ম্যাপ

           বরুরা              

 ব্রাহ্মণপাড়া

বুড়িচং 

চান্দিনা

চৌদ্দগ্রাম 

কুমিল্লা সদর 

দাউদকান্দি 

দেবীদ্বার 

হোমনা 

লাকসাম 

মুরাদনগর 

নাঙ্গলকোর্ট

16 April 2014

ফটো গ্যালারি - হোটেল , রেস্টুরেন্ট

ফটো গ্যালারি - হোটেল , রেস্টুরেন্ট

 ছন্দু হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট, পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড 


হোটেল গ্রীন ভিউ, চৌদ্দগ্রাম


হোটেল গোল্ডেন ইন


হোটেল নুরজাহান 


মিয়ামি কমপ্লেক্স, আলেখারচর


হোটেল অফ বিট 


ভিটা ওয়ার্ল্ড রেস্টুরেন্ট 

12 April 2014

কুমিল্লা আওয়ার লেডী অফ ফাতিমা চার্চ

কুমিল্লা আওয়ার লেডী অফ ফাতিমা চার্চ


প্রয়াত সিস্টার মেরী লিও ক্যাভেল এর
উদ্যোগে ১৯৫০ খ্রীঃ কুমিল্লা ক্যাথলিক মিশনের
কাজ শুরু হয়।
ক্যাথলিক মিশনটি ১৯৫১ সালে অর্থের
বিনিময়ে এবং লিক্যান মিশন থেকে ক্রয় করা হয়।

এই চার্চের নাম করণ হয় “আওয়ার লেডী অফ
ফাতিমা ক্যাথলিক চার্চ”। তখন প্রথম ফাদার
ছিলেন “ফাদার ফ্রান্সিস উইস সি, এস, সি।
পরে ১৯৬১ সালে ফাদার ডানিয়েল টেরেন্স
ক্যানার্স সি, এস, সি চার্চের দায়িত্ব গ্রহন করেন
এবং দীর্ঘ দিন দায়িত্ব পালনের পর ১৯৯৯ সালের
১লা ফেব্রুয়ারি পরলোক গমন করেন।

পরবর্তীতে দেশীয় বাঙ্গালী ফাদার পর পর কয়েকজন
দায়িত্ব পালন করেন এবং বর্তমানে ফাদার লেনার্ড
পি, রোজারিও দায়িত্ব পালন করছেন। গীর্জার
সংলগ্ন যাজক ভবন বিদ্যমান।
কুমিল্লা ক্যাথলিক চার্চের আওতাধীন ৪৭
টি পরিবার ২৭২ জন সদস্য
সদস্যা কুমিল্লা শহরে বসবাস করেন।

এই চার্চের পরিচালিত একটি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়
ও প্রাইমারী বালক বিদ্যালয় রয়েছে। ক্রেডিট
ইউনিয়ন বা সমবায় ঋণদান
সমিতি রয়েছে এবং একটি ক্যাথলিক কবর স্থান
রয়েছে।

07 April 2014

আমার একটা নদী ছিল

আমার একটা নদী ছিল


আমার শৈশব-কৈশোর কেটেছে গ্রামে। আমাদের বাড়ির
পাশে একটা নদী আছে। গোমতি নদী। বছরে একবার
সে নদী আমাদের কৈশোর মনে আনন্দের উপলক্ষ হত! পানির
অভাবে সারা বছর নদীটি রুগ্ন থাকলেও বর্ষার শুরুতেই
ইণ্ডিয়ার পাহাড়ী জলের ছোয়ায় ফুলে-ফেপে পরিপূর্ণ যৌবন
লাভ করত সেটি। নদীতে জলের ঢল নামলেই গোমতি নদীর
আশে-পাশের জনগনের মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা শুরু
হয়ে যেত। খানিকটা আনন্দ। খানিকটা ভয়!
চারদিকে একটা উৎসব-উৎসব আমেজ। সবাই দল বেধে নদীর
পানি দেখতে যাওয়া। হাত দিয়ে পানি স্পর্শ করা। নদীর
বাঁধে কাঠি পুতে পানি কতটুকু বেড়েছে তা মেপে দেখা!
তখন প্রায় সবাই মুখে এক ধরনের গাম্ভীর্য মেখে নদীর বাঁধের
উপর হেটে বেড়ায়। এক জন আরেক জনের কাছে জিজ্ঞাস
করে "পানি কতখানি বাড়ল।"
অন্যজনও মুখে আনন্দ চেপে গম্ভির কন্ঠে জবাব দেয়
"একদিনে পাঁচ আঙুল।"
" ওহ! মনে হয় এবার ভাঙা পড়বই।"
"হ।"
এভাবেই কাজ-কর্ম ফেলে অনেক মানুষ সারাদিন নদীর পাড়ে-
পাড়ে ঘুরে বেড়ায়। নদীর ঘোলা জলের দিকে ঘন্টার পর
ঘন্টা গভীর আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে থাকে। জলের প্রতি মানুষের
এই আকর্ষন চিরন্তন! আশ্চর্য হলেও সত্য সেই জলের
আকর্ষনেই অনেকে মনে-মনে কামনা করে বন্যা হোক।
লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ুক!
কেউ-কেউ কামনা করে কখন নদীর পানি শুকিয়ে চর জাগবে।
সেই চরে ফসল ফলাবে!
কখনো কখনো নদীর বাঁধ ভাঙতো। পানি চলে যেত
লোকালয়ে। আমাদের বাড়ি নদীর আধা কিলোমিটারের মধ্যে।
নদীর বাঁধ ভাঙলে আমাদের ঘরেও পানি উঠে যেত। আমাদের
আনন্দ দেখে কে। নদীর পানি আমাদের ঘরে! তারচেয়ে বড় কথা,
সে পানিতে স্রোতও আছে! মাছও লাফা-লাফি করে! ছোটদের
জন্যতো এটা বিরাট আনন্দময় ঘটনা। বড়দের জন্য
সেটা আনন্দময় কিনা জানিনা। (যখন বড় হয়েছি তখন আর
নদীর বাঁধ ভাঙেনা। বর্ষায়ও নদীতে পানি থাকেনা। বাঁধ
ভাঙবে কেমন করে! )
আমার ধারনা বন্যার পানি ছোটদের পাশা-পাশি বড়দের মনেও
আনন্দ নিয়ে আসে। কারন, আমি দেখেছি বন্যার
পানি লোকালয়ে চলে আসলে বড়রাও ছুটা-ছুটি শুরু করে দেয়।
কলা-গাছ কেটে ভেলা বানায়। জাল নিয়ে মাছ ধরতে যায়।
চিৎকার চেচামেচি। হৈ-চৈ হুল্লোর। সব কিছুতেই কেমন
একটা উৎসব-উৎসব ভাব। কোন বিরক্তি নেই! ছোটদেরও
তখন বেশী বকা-বকি করেনা। নরম
স্বরে বুঝিয়ে বলে পানি না কমা পর্যন্ত খাটের উপর
বসে থাকতে। আমরা খাটের উপর উঠে বসে থাকতাম।
অথবা যাদের বাড়ি অপেক্ষাকৃত উচু, তাদের বাড়ি চলে যেতাম।
পানি না কমা পর্যন্ত সেখানেই থাকতাম।
কিন্তু, আমাদের আনন্দ দীর্ঘস্থায়ী হতনা। পানি বড়জোর
দুইদিন থাকত। ভাটির টানে সব পানি দুইদিনের ভিতর
শুকিয়ে যেত।
দু-দিনের মধ্যে পানি চলে গেলেও সে তাঁর চিহ্ন রেখে যেত।
ভাঙা রাস্তা-ঘাট। পলি পড়ে থক-থকে উঠান। জলে টই-টুম্বর
পুকুর। যেন এক ধ্বংসস্তুপ।
তারপর শুরু হত চির-পরিচিত নোংরা রাজনীতি। ওমোক
নেতা, তমোক নেতা এলাকার ক্ষতিগ্রস্থদের দেখতে আসেন
দুঃখ মোচন করার অঙ্গীকার নিয়ে। প্রতিজ্ঞা করে যায়,
যাদের ঘর পড়ে গেছে তাদের ঘর তুলে দেওয়া হবে। যাদের ফসল
নষ্ট হয়েছে তাদেরকে বিনামূল্যে চাল দেওয়া হবে।
পানি শুকায়। নেতাদের দেখা আর পাওয়া যায়না।
নেতাদের দেখা পাওয়া না গেলেও কৃষকরা কিন্তু হতাস হয়না।
তাঁরা আবার বীজ বুনে। পরের বছর জমিতে নদীর পলি পড়ার
কারণে চমৎকার ফসল হয়। প্রায় দ্বিগুন, তিনগুন। কৃষকের
মুখেও হাসি ফুটে।